নিয়মিত বাদাম খেলে আপনার শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি ত্বকের যত্বেও এটি
এক অসাধারন উপাদান । বাদামে থাকা অ্যামাইনো এসিড, ফলিক এসিড ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ভিতরে ডি অক্সাইড (অক্সিজেন কমে যাওয়া) হওয়া থেকে রক্ষা
করে।
স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে বাদামের কোন জুরি নেই । তেমনি শিশুদের মস্তিষ্ঠটিনেও
খুবই গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে বাদাম । এমনকি ওজন কমাতে গেলেও বাদাম খুব্গুটরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে । তাই সুস্বাস্থের জন্য আপনার প্রতিদেনের খাবার
তালিকায় বাদাম থাকা খুবই জরুরী ।
বাদামে থাকা পুষ্টিগুন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এই বাদামে
থাকে মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় দুটি পুষ্টিগুন রিবোফ্লাভিন ও এল ক্যারনিটিন। এই উপাদান দুটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি স্মৃতিভ্রম রোগ প্রতিরোদে
সাহায্য করে । প্রতিদিন একমুঠো বাদাম খেলে মস্তিষ্কের কাজের উন্নতি ঘঠে । বাড়ন্ত
শিশুদের জন্যও বাদাম অন্যতম গুরুত্বপূর্ন একটি খাবার ।
আপনার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় একমুঠো বাদাম ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য
করে। বাদাম কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং এটি কোলনকে ভালো
রাখতে সাহায্য করে ।
হার্টের সুস্থতায় বাদামের কার্ষকারীতা অপরিসীম । নিয়ম করে বাদাম খেলে হার্ট
ভালো থাকে । কারন বাদামে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি উপকারী উপাদান থাকে। যা হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
এতে থাকা ভিটামিন-ই হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং ম্যাগনিসিয়াম হার্ট আযাটাক
প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি ত্যার্টারিকে ক্ষতিকর প্রদাহের হাত থেকে সুরক্ষা
দেয়। নিয়মিত বাদাম খেলে হদযন্ত্র ভালো থাকে এবং ৫০% হার্ট আ্যাটাকের ঝুঁকি
কমে।
ডায়বেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। বাদাম ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রন করতেসহায়তা করে । গবেষকরা বলেন নিয়মিত বাদাম খেলে ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে
সাহায্য করে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে । বাদামে থাকা ফসফরাস উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন রাখতে
সাহায্য করে । এর মধ্যে থাকা সোডিয়ম রক্তচাপের উঠানামা নিয়ন্ত্রন করে । তাই
আপনার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় একমুঠো বাদাম অবশ্যই জরুরী |
ওজন নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে। বাদাম খাওয়ার পর খিদে কমে যায়। ফলে
মাত্রাতিরিক্ত খাবার খওয়ার প্রবনতা হাস পায়। সেই সঙ্গে শরীরের প্রয়োজন
অতিরিক্ত ক্যালরি জমে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও কমে । বি পাকের হার বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতেও সাহায্য করে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। বাদাম শরীরের বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। প্রতিদিনের ডায়েটে বাদামের অন্তর্ভুক্ত করলে হার্টের স্বাস্থ্য নিয়ে আর চিন্তায় থাকতে হবেনা। আসলে বাদামে উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরী উপাদান শরীরের অন্দরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ের দেয়। ফলে
স্বাভাবিক ভাবেই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে থাকে । এছাড়া বাদামে প্রচুর পরিমান মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, থাকে ওমেগা-৬ ফ্যাটি
অ্যাসিডও। কিন্তু কোনরকম ট্রান্স ফ্যাট থাকে না। ফলে হার্ট অ্যাটাক কিংবা
স্ট্রোকের আশঙ্কা কম থাকে।
হাড় ও দাত ভালো রাখে । বাদামে থাকা ফসফরাস, মিনারেল ও ভিটামি হাড় ও
দাতকে সুরক্ষা দেয়। ফসফরাস কেবল হাড় ও দাত কে মজবুত করে না বরং এটি
অস্টিওপরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে । হাড় ও দাঁতের
সুস্বাস্থ্য ও স্থায়িত্বের ওপর ফসফরাস এর প্রভাব রয়েছে অনেকখানি । বয়স জনিত
হাড় ও দাঁতের সমস্যার তৈরি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতেও ফসফরার অনেক
কর্ষকরী ভূমিকা রাখে ।
পুষ্টির ঘাটতি দূর করে । বাদামে রয়েছে প্রায় ৩.৫ গ্রাম ফাইবার, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৪ গ্রাম ফ্যাট সহ ভিটামিন-ই, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন-বি২, ফসফরাস ও
ম্যাগনেসিয়াম । এই সবকটি উপাদান ই শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য
করে।
কোষ্টকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। বাদামের ফাইবার শরীরের জন্য অনেক
উপকারী । আর্জিনিন এবং হেলদি ফ্যাটের সঙ্গে এই ফাইবারের উপস্থিতি
কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ রুগীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরী । ফাইবারযুক্ত খাবার
খেলে কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আনেকটাই কমে যায় ।
কোষের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বাদামে থাকা ভিটামিন-ই শরীরের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে থাকা কোষের কর্মক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটানোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরে যাতে কোন ক্ষতের সৃষ্টি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখে । ফলে বয়স বাড়লেও শরীরের উপর এর কোনো প্রভাব পড়ে না।
শক্তি সঞ্চয় করতেও সাহায্য করে । প্রতিদিন একমুঠো বাদাম খাওয়া শরিরে শক্তি
বাড়াতে সাহায্য করে । এর মধ্যে থাকা ম্যাঙ্গানিজ, কপার ও রিবোপ্রাবিন শরীরে
শক্তি জেগায়। এটি বিপাক প্রক্রিয়া ভালোভাবে হতেও সাহায্য করে ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় । বাদাম অ্যালকেলাইন সমৃদ্ধ একটি খাবার । এটি
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে । এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-ই রয়েছে
অনেক শক্তিশালী আ্যান্টি অক্সিডেন্ট । এগুলো বিভিন্ন ধরনের রোগের হাত থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়।
হৃদযন্ত্র সবল রাখে । হৃদযন্ত্রের জন্য কাজুবাদামষ খুবই কর্ষকরী একটি উপাদান।
এই বাদামে কোনো কোলেস্টেরল বা ক্ষতিকর উপাদান নেই। কিন্তু হৃদযন্ত্রের
যা হৃদযন্ত্ সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে ।
চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে। বাদামে প্রচুর পরিমানে লুটেন ও
জিয়াক্সিথিন থাকে, যা চোখকে আলোক রশ্রির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
এবং চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
রক্তরোগ দূর করে। প্রতিদিন পরিমিত মাত্রায় বাদাম খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়।
বিশেষ করে কাজুবাদামে থাকা কপার বা তামা থাকে, যা রক্তরোগ দূর করে । রক্তে
কপারের অভাব হলে লৌহ স্বল্পতাও দেখা দিতে পারে যা রক্তশূন্যতা সৃষ্টি করে। নিয়মিত বাদাম খেলে এই সমস্য দূর হয়।